উত্তম কুমার অভিনীত বিখ্যাত সিনেমা.............

 হারানো সুর (১৯৫৭)

উত্তম সুচিত্রা অভিনীত এক রোমানটিক সিনেমা হারানো সুর।এই সিনেমায় দেখা যায় নায়ক একটি ট্রেন দুর্ঘটনায় স্মৃতি হারায়। গল্পের নায়িকা একজন ডাক্তার সে নিজের বাড়িতে নায়কের চিকিৎসা করেন এরপর তাদের মধ্যে প্রেম এবং পরে বিবাহ হয়। এর কিছুদিন পর আরও একটি দুর্ঘটনায় নায়কের আগের স্মৃতি ফিরে আসে কিন্তু নায়িকাকে নায়ক চিনতে পারে না।

 · বিচারক (১৯৫৯)

 এই সিনেমায় নায়ক (জ্ঞানেন্দ্রে) একজন বিচারক তার প্রথম স্ত্রী (সুমিতা) দজ্জাল প্রকিতির ছিলেন। তারই চোখের সামনে তার প্রথম স্ত্রী পুড়ে মরে যায় কিন্ত সে তাকে বাঁচানোর কোনপ্রকার চেষ্টা করে না । পরে তিনি তার প্রফেসার এর মেয়েকে (সরমা) বিয়ে করেন।বিচারকের আসনে বসে তার সেই অতীত অপরাধ তাকে তারিয়ে বেরায়।

·         সপ্তপদী

এই সিনেমায় নায়ক কৃষ্ণেন্দু ( একজন বাঙালি হিন্দু  ছাত্র) এবং নায়িকা  রিনা ব্রাউন (একজন অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান খ্রিস্টান ছাত্রী )  দুজনেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পড়াশোনা করে। কলেজের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তার ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে । প্রথমে ঝগড়া পরে প্রেম

·        ঝিন্দর বন্দি

এই সিনেমায় ঝিন্দের রাজা হলেন সঙ্কর সিং । তিনি রাজ্যাভিষেকের ঠিক আগে নিখোঁজ হয়েযান। রাজার মতো দেখতে হুবহু একজন গৌরী শঙ্কর রায় নামে কলকাতাবাসী একজনের খোজ পাওয়া যায়। তাকে নিয়ে জাওয়া হয় ঝিন্দির রাজপ্রসাদে নকল রাজা হিসাবে।

·         দেয়া নেয়া

এই সিনেমার গল্পে নায়ক প্রশান্ত কুমার রায়, একজন শিল্পপতির ছেলে।পারিবারিক ব্যবসা তার ভালো লাগত না। গানই ছিল তার ধ্যন জ্ঞান। গান এর কারনেই একদিন বাড়ি ছারা হতে হয় প্রসান্তকে। পরে প্রেমে পরেন সুচরিতার। এই নিয়েই গল্প দেয়ে নেয়া।

লাল পাথর জতু গৃহ থানা থেকে আসছি চৌরঙ্গী নায়ক অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি অমানুষ বাঘ বন্দি খেলা চিরিয়াখানা

উত্তম কুমার 1926 সালের 3 সেপ্টেম্বর উত্তর কলকাতার আহিরীটোলায় একটি সাধারণ নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায়, এবং মাতার নাম চপলা দেবী।তিনি ছিলেন পরিবারের জ্যৈষ্ঠ সন্তান।তিন ভাই অরুন বরুণ তরুণ এর মধ্যে তরুণ কুমার ছিল সবচেয়ে ছোট।এই তরুণ কুমার ও একজন সফল অভিনেতা ছিলেন। তার বাবা কলকাতার তৎকালীন মেট্রো সিনেমা হলে একজন সাধারন কর্মচারী ছিলেন

তিনি মাধ্যমিক (তৎকালীন ম্যাট্রিক পরীক্ষা) পাস করেন সাউথ সাবারবান স্কুল থেকে। ছোট বেলা থেকেই তার অভিনয়ের প্রতি একটা ভালোবাসা ছিল। স্কুলে পড়াকালীন কিছু বন্ধু বান্ধাব নিয়ে তৈরি করে ফেলে ছিলেন একটা থিয়েটার গ্রুপ।মাত্র দশ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত নাটক মুকুট এ পাঠ করে তার অভিনয় জগতে পা রাখা। পরবর্তী কালে উচ্চ শিক্ষার জন্য গোয়েঙ্কা কলেজ অফ কমার্স এ ভর্তি হন কিন্তু পরিবারের আর্থিক অভাব অনটনের জন্য শেষমেশ পড়াশোনা ছাড়তে তিনি বাধ্য হন।

অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি লাঠি খেলা ও কুস্তিতে বেশ পারদর্শী ছিলেন। এর পাশাপাশি ফুটবল ও ভলিবল খেলতে ভালোবাসতেন। এমনকি তিনি সাঁতারেও চ্যাম্পিয়ন ছিলেন।