হনুমান চালিশা        বাংলায়

শ্রী গুরুচরণ সরোজ রজ, নিজ মনু মুকুর সুধারী। বরণউ রঘুবর বিমল জসু, জো দায়কু ফল চারি।। বুদ্ধিহীন তনু জানিকে, সুমিরৌ পবন- কুমার। বল বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহি, হরহু কেলেস বিকার ।।

১৫ শতাব্দীর বিখ্যাত কবি তুলসীদাস হনুমান চালিশাটি রচনা করেছিলেন আবাধি ভাষায়। কবি তুলসী দাস রামচরিতমানসও রচনা করেছিলেন এবং প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। চালিশা শব্দটি হিন্দি শব্দ চাল্লিশ থেকে গৃহীত। হনুমান চালিশাটি দ্বিপদী শ্লোক এ লেখা। এটি মোট ৪৩ টি ভাগে বিভক্ত যার মধ্যে সূচনায় দুটি দোহা, ৪০ টি চৌপাই এবং একটি দোহা শেষে অবস্থান করেছে।

ধন্বন্তরী দ্বারা আশীর্বাদ প্রাপ্ত হনুমানজির নাম জপ করলে সমস্ত রোগ পীড়া দূর হয়ে যাবে।

জীবনে যতই বাধাবিপত্তি আসুক হনুমানজি সব বাধা-বিপত্তি থেকে রক্ষা করবে।

জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর। জয় কপিস তিহু লোক উজাগর।।১।। রামদুত অতুলিত বল ধামা। অঞ্জনি পবন সূত নামা।।২।। মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গি। কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গী।।৩।।

কাঞ্চনবরন বিরাজ সুবেসা। কানন কুন্ডল কুঞ্চিত কেশা।।৪।। হাত বজ্র ঔর ধ্বজা বিরাজঐ। কান্ধে মুঁজ জনেউ সাজ ঐ।।৫।। শঙ্কর সুবন কেশরী নন্দন। তেজ প্রতাপ মহা জগবন্ধন।।৬।।

বিদ্যাবান গুণী অতি চতুর। রাম কাজ করিবে কো আতুর।।৭।। প্রভু চরিত্র সু নিবে কো রসিয়া। রাম লখন সীতা মন বসিয়া।।৮।। সূক্ষ্ম রূপ ধরি সিয়হি দিখাবা। বিকটরূপ ধরি লঙ্কা জরাবা।।৯।।

ভীম রূপ ধরি অসুর সংহারে। রামচন্দ্রকে কাজ সবারে।।১০।। লায় সঞ্জীবন লখন জিয়ায়ে। শ্রী রঘুবীর হরষই উর লায়ে।।১১।। রঘুপতি কিন হী বহত বড়াই। তুম মম প্রিয় ভরতহি সম ভাই।।১২।।

সহস বদন তুমহর যশ গাবৈ। অস কহি শ্রীপতি কণ্ঠ লাগাবৈ ।।১৩।। সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীসা। নারদ সারদ সহিত অহিসা।। ১৪।। যম কুবের দিগপাল জহা তে। কবি কোবিদ কাহি সকে কহা তে।।১৫।

তুম উপকার সুগ্রীবহি কিনহা। রাম মিলায় রাজ পদ দিনহা ।।১৬।। তুমহারো মন্ত্র বিভীষণ মানা। লঙ্কেশ্বর ভএ সব জগ জানা।।১৭।। যুগ সহস্র যোজন পর ভানু। । লিল্য তাহি মধুর ফল জানু।।১৮।

প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহি। জলধি লাঘি গয়ে অচরজ নাহি।।১৯।। দুর্গম কাজ জগতকে যেতে। সুগম অনুগ্রহ করে তুমহরে তেতে।।২০।। রাম দুয়ারে তুম রখবারে। হোত না আজ্ঞা বিনু পইসারে।।২১।।

https://banglaunited.com/

বিষদে জানতে দেখুন BANGLAUNITED.COM